হোম নোটিশ শিক্ষাস্থার ও বিভাগ ছাত্রাবাস যোগাযোগ দান ও মান্নত ভর্তি আবেদন

পরিচিতি

প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


মেধা ও চরিত্র বিকাশে অতুলনীয় প্রতিষ্ঠান “ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসা”। ফলাফলে সেরা এ বিশাল প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের ছাত্রের জন্য রয়েছে শিক্ষার সু-ব্যবস্থা। হাফেজ, কওমী, শিশু, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যাম্পাস।

ওলীয়ে বরহক, ইনসানে কামেল, বিশিষ্ট দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক, মুজাদ্দিদ, হাদীয়ে যামান হযরত মাওলানা মুহম্মদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী (কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.) ১৯৫০ইং সনে প্রতিষ্ঠা করেন এ প্রতিষ্ঠানকে ফোরকানিয়া মাদরাসা হিসেবে। ১৯৬১ইং সনে দাখিল স্তরের কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৯৮৬ইং সনে কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয় অত্র প্রতিষ্ঠান।

১৯৯৪ ইং সনে সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসার বহুমুখী অভিযাত্রা শুরু হয়। দাখিল-আলিমে বিজ্ঞান, ফাযিল বিএ, ফাযিল অনার্স, কামিল মাস্টার্স, কামিলে তাফসীর ফিকহ ও আদব বিভাগ চালু করাসহ একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়াস চলতে থাকে।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরিচালনা, ত্যাগী, মুত্তাকী, মুখলেছ, সৎ ও যোগ্য শিক্ষকমন্ডলীর শিক্ষাদান, সুন্দর, স্বচ্ছ ও প্রত্যাশিত মনোগ্রাহী পরিবেশ এবং দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ মাদরাসাটিকে আজ দেশময় পরিচিত শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রদের বুদ্ধিজাত, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে জাতিকে ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান, শিক্ষিত, সুশৃঙ্খল, দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া।

মাদরাসার বিশেষত্ব


  • এ প্রতিষ্ঠান আল ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ তথা মতানৈক্যসহ ঐক্য নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত বিধায় কলেমায় বিশ্বাসি সকল ধরণের ছাত্র ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়।
  • এ মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারিগণ হানাফি মাযহাব, সুন্নিয়া তরিকা ও ছেলছেলা মেনে চলেন।
  • শিক্ষার্থীদের ইসলামী জীবন গঠনে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
  • দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ।
  • সুন্নত তরীকার পূর্ণ অনুসারী প্রতিষ্ঠান।
  • ক্যাডেট, কিন্ডারগার্টেন, ফোরকানিয়া ও নূরাণীর সমন্বিত পদ্ধতিতে পাঠদান।
  • সেমিস্টার পদ্ধতি অনুসরণ।
  • বছরের শুরুতেই পাঠ্যবিষয়ে দুর্বল ছাত্রদেরকে চিহ্নিত করে বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে গড়ে তোলার ব্যবস্থা।
  • সাপ্তাহিক জলছা, সাধারণ জ্ঞান, বিতর্ক ও রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রদের মেধা ও প্রতিভার বিকাশ সাধন।
  • শ্রেণিভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা
  • প্রতিবছর অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন।
  • আরবি ও ইংরেজি ভাষা কোর্সের আয়োজন।
  • প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।
  • হাফেয ছাত্রদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে তাহীলী মাদরাসা।
  • স্কুল থেকে আগত ছাত্রদের জন্য স্কুল বিভাগের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • কারিগরী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্রদেরকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা।